Monday, May 1, 2023

৩ ব্যাংকসহ ৫ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা

৩ ব্যাংকসহ ৫ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা
শেয়ারহোল্ডারদের ১২ ও ১০ শতাংশ (নগদ ও বোনাস) লভ্যাংশ দেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের দুই প্রতিষ্ঠান মার্কেন্টাইল ও সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড। এ ছাড়া ঢাকা ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। শেয়ারহোল্ডারদের পৌনে ১০ কোটি টাকা নগদ লভ্যাংশ দেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান মার্কেন্টাইল ও রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

রোববার (৩০ এপ্রিল) ব্যাংক দুইটির বোর্ড সভায় জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক 

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মার্কেন্টাইল ব্যাংক বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেবে। তাতে শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার প্রতি ১ টাকা করে মোট ১০৮ কোটি ৪৮ লাখ ৭৭ হাজার ৮৭৮ টাকা লভ্যাংশ দেবে ব্যাংকটি। পাশাপাশি ২ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে। কোম্পানির তথ্য মতে, মার্কেন্টাইল ব্যাংকটির ২০২২ সালে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ১৭ পয়সা। সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হবে।

এছাড়াও কোম্পানির মূলধন বাড়াতে ২ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেবে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে। এর আগের বছর ২০২১ সালে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২ টাকা ২৫ পয়সা। সেই বছর শেয়ারহোল্ডারদের সাড়ে ১৭ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংকটি।

ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিতে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে ১৪ জুন। ওইদিন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোম্পানির এজিএম বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৩ মে। ২০০৪ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৩ টাকা ৭১ পয়সা। যা আগের বছর ছিল ২৩ টাকা ২৩ পয়সা। কোম্পানির বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ১০৮ কোটি ৪৮ লাখ ৭৭ হাজার ৮৭৮টি। রোববার সর্বশেষ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ টাকা ৯০পয়সা।

সাউথইস্ট ব্যাংক 

অপর প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট ব্যাংকের ২০২২ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৪২ পয়সা। সেখান থেকে ৬ শতাংশ নগদ ও ৪ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে। এর আগের বছর ২০২১ সালে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৪৪ পয়সা। সে বছর শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিয়েছিল ১২ শতাংশ (৮ শতাংশ নগদ এবং ৪ শতাংশ বোনাস শেয়ার)।

ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিতে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুলাই। ওইদিন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোম্পানির এজিএম বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৭ জুন। ২০০০ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৪ টাকা ৮৭ পয়সা। যা আগের বছর ছিল ২৫ টাকা ২২ পয়সা। কোম্পানির বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ১২৩ কোটি ৬৪ লাখ ৯৮ হাজার ১৪১টি। রোববার সর্বশেষ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ টাকা ৮০পয়সা।

ঢাকা ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা

শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ (৬ নগদ ও ৬ বোনাস) লভ্যাংশ দেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড। রোববার (৩০ এপ্রিল) ব্যাংকটির বোর্ড সভায় জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি ৬০ পয়সা করে মোট ৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫২ টাকা লভ্যাংশ দেবে ব্যাংকটি। পাশাপাশি ৬ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানি সচিব শাহজাহান মিয়া। তিনি বলেন, ২০২২ সালে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭৫ পয়সা। সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হবে। এছাড়াও কোম্পানির মূলধন বাড়াতে ৬ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেবে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে। এর আগের বছর ২০২১ সালে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২ টাকা ২৫ পয়সা। সেই বছর শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংকটি।

ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিতে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে ১৮ জুন। ওইদিন ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানির এজিএম বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ মে। ২০০০ সালে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২২ টাকা ৮৭ পয়সা। যা আগের বছর ছিল ২২ টাকা ৮ পয়সা। কোম্পানির বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ৯৪ কোটি ৯৬ লাখ ২৪ হাজার ৭৫৪টি। রোববার সর্বশেষ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ টাকা ৪০ পয়সা

রিপাবলিক-মার্কেন্টাইল ইনস্যুরেন্সের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

শেয়ারহোল্ডারদের পৌনে ১০ কোটি টাকা নগদ লভ্যাংশ দেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান মার্কেন্টাইল ও রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সাড়ে ১০ এবং ১০ শতাংশ নগদ এ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পর্ষদ। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৫ পয়সা এবং ১ টাকা করে মোট ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৯৯ হাজার ৫১৬ টাকা দেবে তারা। একইসঙ্গে বিদায়ী বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স

ডিএসইর তথ্যমতে, কোম্পানি দুইটির মধ্যে ২০২২ সালে রিপাবলিক ইনস্যুরেন্সের সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৯৬ পয়সা। সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের সাড়ে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে তারা। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৫ পয়সা করে মোট ৫ কোটি ৪৭ লাখ ৪ হাজার ১৫৬ টাকা লভ্যাংশ দেওয়া হবে। বাকি টাকা আইন অনুসারে ব্যয় করবে। এর আগের বছর ২০২১ সালে বিমা কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২ টাকা ২৭ পয়সা। সে বছর শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছে বিমা কোম্পানিটি।

ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিতে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে ১৯ জুন। ওইদিন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোম্পানির এজিএম বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৫ মে। ২০০৯ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৭ টাকা ৬ পয়সা। কোম্পানির বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ৫ কোটি ২০ লাখ ৯৯ হাজার ১৯৭টি। রোববার সর্বশেষ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩১ টাকা ১০ পয়সা।

মার্কেন্টাইল ইনস্যুরেন্স 

মার্কেন্টাইল ইনস্যুরেন্সের সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৯৫ পয়সা। সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হবে। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ১ টাকা করে মোট ৪ কোটি ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬০ টাকা লভ্যাংশ দেবে তারা। বাকি টাকা আইন অনুসারে ব্যয় করা হবে। এর আগের বছর ২০২১ সালে বিমা কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২ টাকা ৮ পয়সা। সে বছর শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল বিমা কোম্পানিটি।

ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিতে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে ২৬ জুন। ওইদিন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোম্পানির এজিএম বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২১ মে। ২০০৯ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২০ টাকা ৭৮ পয়সা। কোম্পানির বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬০টি। রোববার সর্বশেষ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯ টাকা ২০পয়সা।

Tuesday, June 21, 2022

এবার আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের দায়িত্বে বিএসইসি!

এবার আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের দায়িত্বে বিএসইসি!: এবার আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের দায়িত্বে বিএসইসি! এবার আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের দায়িত্বে বিএসইসি! stock Bangladesh Securities and Exchange Commission BSEC বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিএসইসি

Friday, February 25, 2022

দুই কোম্পানির লভ্যাংশে বিএসইসির সম্মতি, একটি বাতিল

দুই কোম্পানির লভ্যাংশে বিএসইসির সম্মতি, একটি বাতিল

দুই কোম্পানির লভ্যাংশে বিএসইসির সম্মতি, একটি বাতিল

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির ঘোষিত বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদনের আবেদনে সম্মতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে এক কোম্পানির বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদন করেনি সংস্থাটি। অনুমোদন পাওয়া কোম্পানি তিনটি হলো কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, অ্যাডভেন্ট ফার্মা লিমিটেড।

অন্যদিকে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের বোনাস লভ্যাংশে সম্মতি দেয়নি কমিশন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আইন অনুযায়ী বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া কোনো কোম্পানি বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না। তাই বোনাস শেয়ার ঘোষণার পর প্রতিটি কোম্পানিকে তা বিতরণের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার সম্মতি নিতে হয়।

কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ

কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে।

অ্যাডভেন্ট ফার্মা

কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে।

ডমিনেজ স্টিল

কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে।

ডেল্টা লাইফের 'এ' ক্যাটাগরি নিয়ে প্রশ্ন

ডেল্টা লাইফের 'এ' ক্যাটাগরি নিয়ে প্রশ্ন

delta life insurance Delta Life Insurance Company Limited ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী কোম্পানি লিমিটেড

সর্বশেষ ২০১৮ সালের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল বীমা কোম্পানি ডেলটা লাইফ। এরপর তিন বছর কেটে গেছে, কোনো এজিএমও হয়নি, শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশও দেয়নি কোম্পানি। তবু এ শেয়ারটি দেশের দুই শেয়ারবাজারে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার হিসেবে কেনাবেচা হচ্ছে।


ডিএসইর কর্মকর্তারা বলেন, কোনো কোম্পানির শেয়ারকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবনমন করতে বিএসইসির পূর্বানুমোদন নিতে হয়। ডেলটা লাইফের ক্যাটাগরি জেড-এ নামানোর অনুমোদন চেয়ে বিএসইসির কাছে চিঠি দেওয়া হলেও উত্তর মেলেনি। জেড ক্যাটাগরিতে অবনমন হলে শেয়ার লেনদেন নিস্পত্তি পাঁচ কার্যদিবসে লাগে, অন্য সব ক্যাটাগরিতে লাগে তিন দিন।

বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ডেলটা লাইফ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান। তাছাড়া কোম্পানিটির বিষয়ে বিশেষ নিরীক্ষা এবং তদন্তও চলছে। এ কারণে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের বিষয়টি ভাবছে না বিএসইসি।

Tuesday, February 22, 2022

শেয়ারবাজারে যেভাবে কোম্পানির ইপিএস বাড়ে-কমে

শেয়ারবাজারে যেভাবে কোম্পানির ইপিএস বাড়ে-কমে

Share-point-সূচক-অর্থনীতি-economic-দরপতন-dse-ডিএসই-শেয়ারবাজার

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য। ইপিএস বৃদ্ধি বা হ্রাসে ওই কোম্পানির শেয়ারের দামেরও হেরফের হয়। সাধারণভাবে ইপিএস বাড়লে তাতে শেয়ারের দাম বাড়ে। আর ইপিএস কমলে শেয়ারের দামও কমে যায়। এটি সাধারণ প্রবণতা। তবে সব সময় যে শেয়ারবাজারে শেয়ারের দামের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রবণতা দেখা যায়, তা নয়।

কেন ইপিএসের কারণে শেয়ারবাজারে কোম্পানির শেয়ারের দাম প্রভাবিত হয়? কারণ, কোম্পানির ব্যবসার মুনাফার চিত্রই ফুটে ওঠে ইপিএসে। কোনো কোম্পানি নির্ধারিত সময়ে সব ধরনের খরচ বাদ দেওয়ার পর যে মুনাফা করে, সেই মুনাফাকে ওই কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে ইপিএস বের করা হয়। দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো প্রতি তিন মাস পরপর তাদের ইপিএসের তথ্য প্রকাশ করে। বছরকে চার ভাগে ভাগ করে প্রতি তিন মাসে এক প্রান্তিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শেয়ারবাজারের কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রতি প্রান্তিক শেষে ইপিএস তথা লাভ-লোকসানের হিসাব প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক।

ধরা যাক, কোনো কোম্পানি তিন মাস ব্যবসা করে এক হাজার টাকা আয় করেছে। ওই কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা ১০০। সব ধরনের খরচ বাদ দেওয়ার পর কোম্পানিটির মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২০০ টাকা। তাহলে তিন মাস বা এক প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়াবে ২ টাকা। যদি দেখা যায়, কোম্পানিটির ইপিএস আগের প্রান্তিকের চেয়ে বা আগের বছরের একই প্রান্তিকের চেয়ে বৃদ্ধি পায়, তাহলে সাধারণভাবে ধরে নেওয়া যায় কোম্পানিটির ব্যবসা আগের চেয়ে বেড়েছে। এ কারণে মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর যদি দেখা যায়, আগের প্রান্তিক বা আগের বছরের একই প্রান্তিকের চেয়ে ইপিএস কমে গেছে, তাহলে ধরে নেওয়া যায়, কোম্পানিটি ব্যবসায় খারাপ করেছে। ব্যবসা ভালো-মন্দের বিচারে তাই শেয়ারের দামও বাড়তে বা কমতে পারে।

একটি পণ্য পরিবহনকারী জাহাজ কোম্পানির কথা ধরা যাক। ধরে নিই, কোম্পানিটির নাম এবিসি শিপিং। এ কোম্পানির আয়ের প্রধান উৎস জাহাজভাড়া। যদি ওই কোম্পানির জাহাজের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যায় বা ভাড়া বেড়ে যায়, তাহলে ওই কোম্পানির আয় বেড়ে যেতে পারে। আবার ওই কোম্পানির বহরে যদি নতুন কোনো জাহাজ যুক্ত হয়, তাহলেও আয় বাড়বে। আবার জাহাজ ব্যবসার বাইরে কোম্পানিটি যদি অন্য কোনো খাতে বিনিয়োগ করে ভালো মুনাফা করে, তাতেও আয় বাড়তে পারে। এ বিনিয়োগের মধ্যে হতে পারে কোম্পানিটি ব্যাংকে বড় অঙ্কের কোনো স্থায়ী আমানত রেখেছে। অথবা শেয়ারবাজারে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করে ভালো মুনাফা করে। আবার কোনো একটি প্রান্তিকে যদি জাহাজ কোম্পানিটি কোনো সম্পত্তি বিক্রি করে দেয়, তাতেও হঠাৎ ওই কোম্পানির আয় অনেক বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া যদি হঠাৎ কোনো এক প্রান্তিকে কোম্পানিটি বড় ধরনের কোনো করছাড় পায়, তাতেও আয় বাড়তে পারে। জাহাজ কোম্পানিটি যদি আন্তর্জাতিক পরিসরে পণ্য পরিবহন করে এবং হঠাৎ যদি ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান কমে যায়, তাতেও বাড়তি মুনাফা যুক্ত হতে পারে কোম্পানিটির। এ ছাড়া হঠাৎ কোনো প্রান্তিকে বড় অঙ্কের বকেয়া পাওনা আদায় হলে তাতে বাড়তে পারে আয়। উল্লিখিত কারণগুলো ছাড়া কোম্পানিটির আয় বৃদ্ধির ছোটখাটো আরও কিছু কারণ থাকতে পারে। আয় বাড়লেই যে সব সময় মুনাফা বাড়বে, তেমনি না–ও হতে পারে। ধরা যাক, ওপরের সব কটি কারণে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে। কিন্তু একই সময়ে কোম্পানিটির পরিচালন খরচ বা ব্যবসার খরচ অনেক বেড়ে গেছে, তাতে আয় বাড়লেও তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণভাবে মুনাফা না–ও বাড়তে পারে। তবে যদি কোম্পানির খরচ না বেড়ে হঠাৎ আয় বেড়ে যায়, তাতে কোম্পানিটির মুনাফা বাড়বে—এটাই স্বাভাবিক।

বিশ্লেষকেরা বলে থাকেন, কোম্পানির নিয়মিত বা মূল ব্যবসার বাইরে অন্য কোনো খাত থেকে যদি হঠাৎ আয় বেড়ে যায়, সেটি সব সময় স্থায়ী হয় না। এ কারণে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া ইপিএস দেখে কোনো শেয়ারে বিনিয়োগের আগে কেন ইপিএস হঠাৎ বেড়ে গেল, তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেন বিশ্লেষকেরা।

ইপিএস নিয়ে যত কারসাজি

আমাদের শেয়ারবাজারে অনেক কোম্পানির ক্ষেত্রেই ইপিএস নিয়ে কারসাজির ঘটনা অহরহ ঘটে থাকে। শেয়ারের দাম বাড়াতে বা কমাতে কোম্পানির মালিকেরা এ কারসাজির আশ্রয় নেন। কেউ হঠাৎ খরচ কমিয়ে ইপিএস বাড়ান। আবার কেউ ইপিএস বাড়াতে মূল ব্যবসার বাইরে অন্য খাতে অর্থ লগ্নি করেন। সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারবাজারে বেশ কিছু কোম্পানি মূল ব্যবসা রেখে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের বিনিয়োগ করে সেখানকার মুনাফা দিয়ে ইপিএস বাড়িয়েছেন। কোম্পানির মালিকেরা অনেক সময় বেনামে তাঁদের কোম্পানির শেয়ার কিনে থাকেন। সেই শেয়ার বেশি দামে বিক্রি করতেই ইপিএস বাড়িয়ে দেখাতে নানা কারসাজির আশ্রয় নেন। একইভাবে কম দামে শেয়ার কিনতে ইপিএস কমিয়ে দেখান। এভাবেই ইপিএসকে শেয়ারের দাম বাড়ানো-কমানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন অনেক উদ্যোক্তা। তবে ভালো কোম্পানি ও ভালো উদ্যোক্তারা এ ধরনের কারসাজির আশ্রয় নেন না। এ কারণে কোনো কোম্পানিতে বিনিয়োগের আগে ওই কোম্পানির উদ্যোক্তারা কেমন, তা জানাটাও বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৮ মাসে ৭৮০ কোটি টাকার কোম্পানি হলো তমিজউদ্দিন!

৮ মাসে ৭৮০ কোটি টাকার কোম্পানি হলো তমিজউদ্দিন

৮ মাসে ৭৮০ কোটি টাকার কোম্পানি হলো তমিজউদ্দিন!

ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে গত বছরের ১৩ জুন স্টক এক্সচেঞ্জের মূল মার্কেটে আসে বস্ত্র খাতের কোম্পানি তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড। এর পর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ারদর লাগামহীন বাড়ছে। এতে মূল মার্কেটে আসার মাত্র আট মাসের মধ্যেই ৩৯ কোটি টাকা থেকে বেড়ে কোম্পানিটির বর্তমান ভ্যালুয়েশন দাঁড়িয়েছে ৭৮০ কোটি টাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরুর দিন গত বছরের ১৩ জুন তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলসের শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ১৩ টাকা ২ পয়সা। সেই হিসাবে সে সময় কোম্পানিটির ভ্যালুয়েশন ছিল ৩৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সর্বশেষ গত রোববার কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ২৫৯ টাকা ৬০ পয়সা। সেই হিসাবে কোম্পানিটির সর্বশেষ ভ্যালুয়েশন দাঁড়িয়েছে ৭৮০ কোটি ৪৮ লাখ টাকায়। আট মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৯ গুণেরও বেশি।

ডিএসইতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির ২ লাখ ৯৫ হাজার ৬৭৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বোচ্চ ৩০১ টাকা ৩০ পয়সায় উঠেছিল। অবশ্য এর পর থেকে কোম্পানিটির শেয়ারদর নিম্নমুখী। কোম্পানিটির শেয়ারদর ও লেনদেন বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকেও একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছে। এর জবাবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানায়।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আট মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর এভাবে লাগামহীনভাবে বাড়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। কারসাজি করে এ কোম্পানির শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। বাজারে এ ধরনের প্রবণতা চলতে থাকলে ভালো বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হবেন।

চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৬০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৮৩ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮২ টাকা ৯৬ পয়সায়।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ১৮ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৮২ টাকা ৩০ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৮০ টাকা ৫০ পয়সা। ২০২০-২১ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ায় কোম্পানিটি ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে।

১৯৯২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩৫ কোটি টাকা। বর্তমানে পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২১৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। মোট শেয়ার ৩ কোটি ৬৪ হাজার ৭৬৭টি। এর ৬১ দশমিক ২৩ শতাংশ রয়েছে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। এছাড়া দশমিক ২৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৩৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১২৬ দশমিক ৬৩, হালনাগাদ প্রান্তিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৪৯ দশমিক ৯২।

দুই কোম্পানির স্টক লভ্যাংশ অনুমোদন দিলো বিএসইসি

দুই কোম্পানির স্টক লভ্যাংশ অনুমোদন দিলো বিএসইসি 

দুই কোম্পানির স্টক লভ্যাংশ অনুমোদন দিলো বিএসইসি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভিন্ন খাতের দুই কোম্পানির স্টক লভ্যাংশে অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানি দুটি হলো এসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেড এবং কে অ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ) লিমিটেড। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এসোসিয়েটেড অক্সিজেন

তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিটি ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য ৭ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করে। নিয়ম অনুযায়ী এ লভ্যাংশ বিতরণের আগে বিএসইসির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এ কারণে স্টক লভ্যাংশের জন্য সংস্থাটির কাছে আবেদন করে কোম্পানিটি। যাতে সম্প্রতি অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি। এ লভ্যাংশ নির্ধারণ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ধরা হয়েছে ২ মার্চ।

সমাপ্ত হিসাব বছরে স্টক লভ্যাংশের পাশাপাশি উদ্যোক্তা-পরিচালক বাদে বাকি শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৮৭ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৮ টাকা ২৯ পয়সায়। আগের হিসাব বছরের একই সময় শেষে যা ছিল ১৯ টাকা ২৫ পয়সা।

এদিকে সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯৪ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৫ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৪৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৫৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৮৮ পয়সায়।

কে অ্যান্ড কিউ

সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করে। নিয়ম অনুযায়ী এ লভ্যাংশ বিতরণের আগে বিএসইসির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এ কারণে স্টক লভ্যাংশের জন্য সংস্থাটির কাছে আবেদন করে কোম্পানিটি। যাতে সম্প্রতি অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। অনুমোদন পাওয়ার পর এ লভ্যাংশ নির্ধারণ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ধরা হয়েছে ২৮ ফেব্রুয়ারি।

সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯২ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪৪ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৭৬ টাকা ৭৪ পয়সায়। আগের হিসাব বছরের একই সময় শেষে যা ছিল ৭৬ টাকা ৭৯ পয়সা।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কে অ্যান্ড কিউয়ের ইপিএস হয়েছে ২২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ইপিএস হয়েছে ১১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৭৭ টাকা ১৯ পয়সায়। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭৬ টাকা ৭৪ পয়সা।

এসএমই প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সীমা কমলো

এসএমই প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সীমা কমলো

এসএমই প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সীমা কমলো

শেয়ারবাজারে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকলেই যে কোনো বিনিয়োগকারী এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেন করতে পারবেন। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জারি করা এ নির্দেশনায় সই করেছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

এর আগে শেয়ারবাজারে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকলে এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেন করার সুযোগ পেতেন বিনিয়োগকারীরা।

বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেকোনো বিনিয়োগকারীর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকলে তিনি কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হিসেবে নিবন্ধিত হতে পারবেন। আর নিবন্ধিত বিনিয়োগকারী এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের লেনদেন করতে পারবেন।

কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হিসেবে নিবন্ধন নিতে বিনিয়োগকারীদের কোনো চার্জ দিতে হবে না। তবে লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজের যে কমিশন আছে, তা দিতে হবে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আগে এসএমই প্ল্যাটফর্মের কোয়ালিফাড ইনভেস্টর হতে শেয়ারবাজারে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকার বাধ্যবাধকতা ছিল। এখন সেটি কমিয়ে ২০ লাখ টাকা করা হয়েছে। ২০ লাখ টাকা বা তার বেশি বিনিয়োগ থাকা যে কোনো বিনিয়োগকারী কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হিসেবে নিবন্ধিত হতে পারবেন।

তিনি বলেন, কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হিসেবে নিবন্ধিত হতে বিনিয়োগকারীদের কোনো ফি দিতে হবে না। তবে এসএমই প্ল্যাটফর্মে সিকিউরিটি লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর যে কমিশন ধার্য আছে তা দিতে হবে।

বিভিন্ন পক্ষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চায় এমন স্বল্প মূলধনী কোম্পানির জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে ‘স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্ম’ নামে আলাদা বাজার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বল্প মূলধনের কোম্পনির জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপ কোম্পানিজ) রুলস-২০১৬ প্রণয়ন করে। তবে ২০১৮ সালে এর কিছু বিধির সংশোধন আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরপর ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) স্মল ক্যাপ মার্কেট (এসএমই) প্ল্যাটফর্ম উদ্বোধন করে। ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এসএমই প্ল্যাটফর্ম উদ্বোধনের আড়াই বছর পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে শেয়ারবাজারে এসএমই প্রতিষ্ঠানের লেনদেন শুরু হয়।

প্রথমিকভাবে ৬টি কোম্পানি নিয়ে শুরু হয় ডিএসইর এসএমই প্ল্যাটফর্মের লেনদেন। এই ছয় কোম্পানি হলো- বেঙ্গল বিস্কিট, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়, অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং মিলস, মাস্টার ফিড এগ্রো, অরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ এবং হিমাদ্রী লিমিটেড।

এই এসএমই প্ল্যাটফর্মে শুধু কোয়ালিফাইড ইনভেস্টররা লেনদেন করতে পারেন। কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর বলতে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত সম্যক ধারণা রয়েছে এমন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ নিট সম্পদধারী ব্যক্তিকে বোঝায়।

বর্তমানে ডিএসই’র এসএমই প্ল্যাটফর্মে ১০টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে নিয়ালকো অ্যালয়স, কৃষিবিদ ফিড, মাস্টার ফিড এগ্রোটেক, মোস্তফা মেটাল, মামুন এগ্রো ও অরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ- এই ছয় কোম্পানি ‘কিউআইও’ প্রক্রিয়ায় শেয়ার বিক্রি করে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বাকি চার কোম্পানি অ্যাপেক্স ওয়েভিং, বেঙ্গল বিস্কুট, হিমাদ্রি ও ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজকে বিএসইসির নির্দেশে ওটিসি থেকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা হয়েছে।